চমকে দেওয়ার মতো বৈশিষ্ট্যের নতুন এই উইন্ডোজের জন্য প্রযুক্তিপ্রেমীরা অনেক দিন ধরেই অপেক্ষায় ছিলেন। বিশেষ করে ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তিভিত্তিক এই অপারেটিং সিস্টেমে অ্যাপ্লিকেশনস বা প্রোগ্রাম তৈরির জন্য নানা সুবিধা থাকায় ইতিমধ্যে প্রোগ্রামার বা ডেভেলপারদেরও বেশ বাহবা কুড়িয়েছে মাইক্রোসফট। তাই উদ্বোধনের পর প্রথম চার দিনেই প্রায় ৪০ লাখ ব্যবহারকারী তাঁদের কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮-এ হালনাগাদ করেছেন। মাইক্রোসফটের মতে, বিক্রি শুরু হওয়ার পর উইন্ডোজ ৮-এর চাহিদা ছাড়িয়ে গেছে ২০০৯ সালে বাজারে আসা উইন্ডোজ ৭-কে। উইন্ডোজ ৮-এরই আবার চারটি সংস্করণ ছেড়েছে মাইক্রোসফট। এর মধ্যে ‘নরমাল উইন্ডোজ ৮’ থাকছে সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ডেভেলপার ও প্রযুক্তিমনস্ক মানুষের জন্য থাকছে ‘উইন্ডোজ ৮ প্রো’। অন্যদিকে, ‘উইন্ডোজ ৮ আরটি’ ট্যাবলেট কম্পিউটারে চালানোর উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। তবে এআরএম চিপের জন্য তৈরি
এই উইন্ডোজের সংস্করণ আলাদা করে কেনা যাবে না।নির্দিষ্ট ট্যাবলেটেই জুড়ে দেওয়া থাকবে উইন্ডোজ ৮ আরটি। এই তিনটি ছাড়া আরও বড় কাজের জন্য রয়েছে ‘উইন্ডোজ ৮ এন্টারপ্রাইজ’ সংস্করণ। এতে উইন্ডোজ ৮ প্রো-এর সব সুবিধার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবীদের জন্য বাড়তি কিছু সুবিধা যোগ করা হয়েছে।
মাইক্রোসফট নিজ পরিকল্পনায় বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে সারফেস ট্যাবকে বাজারে এনেছে। সারফেস মাইক্রোসফটকে ট্যাবলেটের বাজারে অনেকটা এগিয়ে নেবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। এটি আইপ্যাড ও আন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম-চালিত ট্যাবলেটের চেয়েও ভালো বলে অনেকে রায় দিয়েছেন। কারণ, উইন্ডোজ ৮ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেম। এ ট্যাবের বৈশিষ্ট্য বর্তমানের বেশির ভাগ উচ্চমানের ট্যাবলেটের মতোই। ৯৩ মিলিমিটার পুরু ও ১৫ পাউন্ড ওজনের ট্যাবটিতে কিছু নতুনত্বও আনা হয়েছে। আলট্রা ওয়াইড ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল, অটো অ্যাডজাস্টিং স্ক্রিন- সুবিধাসহ এতে রয়েছে ১০ দশমিক ৬ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন পর্দা। কাজের সুবিধার জন্য রয়েছে তিন মিলিমিটার পাতলা কি-বোর্ড, যা ম্যাগনেটিক স্ট্যান্ডের মাধ্যমেই ট্যাবলেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। সারফেসে গান শোনা বা ছবি দেখা কিংবা দাপ্তরিক কাজের ছবি দেখার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে হাই ডেফিনেশন ডিসপ্লে
প্রযুক্তি। পেছনের স্ট্যান্ডের মাধ্যমে চাইলে ছবির ফ্রেমের মতো দাঁড় করানো যাবে এটিকে। আর ব্যাটারির স্থায়িত্বকালও হবে বর্তমান ট্যাবলেটগুলোর থেকে অনেক বেশি। ৩২ গিগাবাইট তথ্য ধারণক্ষমতা ও টাচ কভার ব্যতীত প্রারম্ভিক সংস্করণের মূল্য ৪৯৯ ডলার হিসেবে ধার্য করা হয়েছে। টাচ কভারসহ একই মডেলের মূল্য ৫৯৯ ডলার এবং টাচ কভারসহ ৬৪ গিগাবাইটের মূল্য ৬৯৯ ডলার।
২৫ অক্টোবর মধ্যরাত থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন দোকান, মাইক্রোসফটের হার্ডওয়ার পার্টনার মাইক্রোসফট স্টোর থেকে কেনা যাচ্ছে উইন্ডোজ ৮। ব্যবহারকারীরা নতুন এই উইন্ডোজে অনলাইনের মাধ্যমে হালনাগাদ করতে পারবেন। এতে প্রায় ৪০ ডলার গুনতে হবে। পুরো সংস্করণটি ডিভিডি প্যাকেও পাওয়া যাবে মাইক্রোসফটের খুচরা বিক্রয় কেন্দ্রে। আবার উইন্ডোজ ৮ ইনস্টল করা পারসোনাল কম্পিউটার বা ট্যাবলেটও কেনা যাবে। একাধিক ওয়েবসাইট অবলম্বনে ।
No comments:
Post a Comment