তারিখঃ ডিসেম্বর ১৭, ২০১২। সময়ঃ ৫:৩১ অপরাহ্ন
রেডিও তেহরান •
************************
বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়- ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১’-এর সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপ কথোপকথন। স্কাইপ কথোপকথন প্রকাশের পর বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম পদত্যাগ করেছেন এবং নতুন বিচারপতিও নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
************************
বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়- ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১’-এর সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপ কথোপকথন। স্কাইপ কথোপকথন প্রকাশের পর বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম পদত্যাগ করেছেন এবং নতুন বিচারপতিও নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
তারপরও এ নিয়ে বিতর্ক থামেনি। তো
বিষয়টির বিভিন্ন দিক নিয়ে রেডিও তেহরান-এর পক্ষ থেকে কথা বলেছে
বাংলাদেশের বিশিষ্ট আইনবিদ ব্যারিস্টার ড. শাহদীন মালিকের সঙ্গে।
রেডিও তেহেরান-এর সৌজন্যে পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাতকারটি উপস্থাপন করা হলো।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী
অপরাধের বিচারে গঠিত ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১’-এর সাবেক
চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপ কথোপকথন গণমাধ্যমে
প্রকাশিত হয়েছে। মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, বিচারপতি নিজামুল হক ব্রাসেলস
প্রবাসী আইনজীবী ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনকে জানান, ‘সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে
রায়ের জন্য পাগল হয়ে গেছে। সরকার শুধু একটা রায় চায়।’ তো,
ট্রাইব্যুনালের স্বচ্ছতা নিয়ে এর আগে যে প্রশ্ন বিরোধীদলের পক্ষ থেকে করা
হয়েছিল, স্কাইপে কথোপকথনে কি তার সত্যতা প্রমাণিত হলো?
ব্যারিস্টার শাহদীন মালিক :
দেখুন! আপনার প্রশ্নের উত্তরে যাওয়ার আগে আমি যেটা বলবো সেটা হচ্ছে-
আদালত সম্পর্কে তারাই সব সময় প্রশ্ন করে যারা মামলার রায়ে হারে বা হারতে
পারে এমনটি আগে থেকে বুঝতে পারে। কিছু মামলায় দেখা যায় অনেক সাক্ষী থাকে।
যেমন ধরুন- কোনো একটি জায়গায় কেউ খুন হয়েছেন। পুলিশ বললো- আমাদের হাতে এ
খুনের ব্যাপারে ১৫ জন চাক্ষুস সাক্ষী আছে। সেক্ষেত্রে বোঝা যায় যে, এ
মামলার প্রমাণ খুব সহজে হয়ে যাবে। আর এ ধরনের মামলায় অভিযুক্ত পক্ষরা
প্রথম থেকেই এ ধরনের বিচারের স্বচ্ছতার প্রশ্ন করা শুরু করে। আর এ
ক্ষেত্রেও বিষয়টিকে ওই আঙ্গিকে বুঝতে হবে যে আদালত সম্পর্কে তারাই প্রশ্ন
করে যারা মামলায় হয় হারে অথবা আগে থেকেই বুঝতে পারে যে হেরে যাবে।
এখন স্কাইপ কথোপকথনে যে কথাটা বলা হয়েছে
যে, সরকার একটা রায় চায়। এ প্রসঙ্গে বলবো-বাংলাদেশে গত প্রায় দু’মাস ধরে
এমন কোনো দিন নেই যেদিন সরকারের কোনো না কোনো মন্ত্রী, সরকারের কোনো
মুখপাত্র বা আওয়ামী লীগের কোনো মুখপাত্র বলছে না যে, ডিসেম্বরের মধ্যে
রায় হয়ে যাবে অথবা ডিসেম্বরের মধ্যে কয়েকটা বিচার শেষ হবে। এই কথাগুলো
তো সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোক প্রতিদিনই প্রায় বলছে, যা আমরা টেলিভিশনে
দেখছি এবং শুনছি। আর এই কথাটা স্কাইপ কথোপকথনে ওনাদেরও হয়তো বলা উচিত
হয়নি। আর সরকারেরও এ কথাটা বারবার বলা উচিত না। তবে সরকার চাচ্ছে,
ডিসেম্বরের মধ্যে রায় হোক এই কথাটা বোধহয় সরকার গত দুই মাসে অন্তত
একশ’বার বলেছে।
প্রশ্ন: এখানে কিন্তু একটা প্রশ্ন
বিভিন্ন মহল থেকে উঠছে যে, একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে যেখানে
বিচারের কাজ শেষ হয়নি এখনও বিচারধীন রয়েছে, সেখানে সরকার কীভাবে আগে থেকে
বলছে যে, ডিসেম্বরের মধ্যেই রায় হবে।
ব্যারিস্টার শাহদীন মালিক:
দেখুন,যারা বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তারা বিষয়টিকে এক ভাবে
বুঝেন আর আমরা যারা প্রতিদিনই মামলা মোকদ্দমার সঙ্গে জড়িত আমরা বিষয়টাকে
একটু ভিন্নভাবে দেখি। ধরুন! একজন মক্কেল যখন বলে এই মামলার রায় কদ্দিনে
হবে? তার উত্তরে আমরা বলি-হয়তো সামনের সপ্তায় বা দুইমাস পরে। ফলে রায়
সম্পর্কে সব সময় কমবেশি কথা-বার্তা হয় এটাও তেমন দোষের কিছু না।
তবে আমি আপনার সঙ্গে একটা ব্যাপারে একমত। সেটি হচ্ছে- নিঃসন্দেহে সরকারের লোকজন বারবার রায়ের বিষয়ে সময়ের কথা বলে ভালো কাজ করেননি। সরকার নিঃসন্দেহে এ কথা বারবার বলে বিচক্ষণতার পরিচয় দেননি। সরকারের পক্ষ থেকে বা তাদের লোকজনের পক্ষ থেকে এটাই বলা বাঞ্ছনীয় ছিল যে, বিচার হচ্ছে বিচারের গতিতে এবং বিচার যখন শেষ হবে তখন রায় হবে। সরকার এটুকু বলতে পারতেন, আমরা আশা করবো যে রায় যতো তাড়াতাড়ি হয় ততই ভাল। তবে সব কিছুর পর আমি এ কথা বলবো আসলে সরকারের উচিত হয়নি এ ধরনের কথা বলা।
তবে আমি আপনার সঙ্গে একটা ব্যাপারে একমত। সেটি হচ্ছে- নিঃসন্দেহে সরকারের লোকজন বারবার রায়ের বিষয়ে সময়ের কথা বলে ভালো কাজ করেননি। সরকার নিঃসন্দেহে এ কথা বারবার বলে বিচক্ষণতার পরিচয় দেননি। সরকারের পক্ষ থেকে বা তাদের লোকজনের পক্ষ থেকে এটাই বলা বাঞ্ছনীয় ছিল যে, বিচার হচ্ছে বিচারের গতিতে এবং বিচার যখন শেষ হবে তখন রায় হবে। সরকার এটুকু বলতে পারতেন, আমরা আশা করবো যে রায় যতো তাড়াতাড়ি হয় ততই ভাল। তবে সব কিছুর পর আমি এ কথা বলবো আসলে সরকারের উচিত হয়নি এ ধরনের কথা বলা।
প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনাল-১-এর সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপি সংলাপ
ফাঁস হওয়ার পর বাংলাদেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা এ বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া
ব্যক্ত করে বলেছেন, এটা যে প্রহসনের বিচার তা প্রমাণিত হয়েছে, বিচারিক
ক্ষমতা হারিয়েছেন বিচারপতি নিজামুল হক। এই অভিযোগের পাশাপাশি আমরা দেখলাম
বিচারপতি নিজামুল হক পদত্যাগ করেছেন নতুন বিচারপতিও নিয়োগ পেয়েছেন। তো
এসব ঘটনার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের ভবিষ্যত কি হতে পারে বলে আপনি
মনে করেন?
ব্যারিস্টার শাহদীন মালিক :
দেখুন! আইনেই বলা আছে, কোনো কারণে কোনো বিচারকের মৃত্যু হলে, শারীরিক
অসুস্থতার জন্য বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারলে তিনি অবসর নেবেন
অথবা পদত্যাগ করলে বিচারকার্য চলবে। অর্থাত একজন বিচারকের মৃত্যু,
অনুপস্থিতি বা পদত্যাগ বিচার প্রক্রিয়ার ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। এ
বিষয়টি সব বিচারে, সব দেশে স্বাভাবিক নিয়ম।
প্রশ্ন: আচ্ছা প্রসঙ্গক্রমেই আমি
আরেকটি বিষয় জানতে চাইবো, সেটি হচ্ছে অভিযোগ ওঠার পর বিচারপতি নিজামুল হক
পদত্যাগ করেছেন। এ থেকে কি এ বুঝা যায় না যে, তিনি তার বিরুদ্ধে
অভিযোগগুলো মেনে নিয়ে পদত্যাগ করলেন?
ব্যারিস্টার শাহদীন মালিক :
এখানে অভিযোগ উঠেছে বা এসেছে এমনটি তো আমি শুনিনি। বিচারপতি নিজামুল হক
নাসিম স্কাইপে যে কথা-বার্তাগুলো বলেছেন সেগুলো এখন প্রকাশিত হচ্ছে। আর
তাদের সেই কথা-বার্তায় কিছু বেফাঁস কথা বলা হয়েছে। তবে আমি যতদূর দেখেছি
বা শুনেছি তাতে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র কিছু হয়েছে বলে আমার মনে হয়নি। তবে
অনেক কিছু বেফাঁস কথা বলা হয়েছে। একজন প্রাজ্ঞ, বিজ্ঞ বা অভিজ্ঞ
ব্যক্তিদের কাছে যে ধরনের কথোপকথন আমরা আশা করি সেটি তাদের সংলাপের মধ্যে
ছিল না। তবে বিচারপতি নিজামুল হক তার স্কাইপ কথোপকথন প্রকাশের পরই তিনি
পদত্যাগ করেছেন। তার মানে যেসব কথা-বার্তা উনার বলা উচিত ছিল না সেগুলো
বলার দায় মেনে নিয়েই তিনি পদত্যাগ করেছেন। আর ওই বিষয়টি মেনে নিয়ে তার
পদত্যাগ করাটাকেই আমি আমি সাধুবাদ জানাবো। কারণ এ ধরনের ঘটনা আমাদের দেশে
হয়নি যে, কেউ ভুল করে ফেললে, বেফাঁস কাজ করলে বা অবিবেচনাপ্রসূত কাজ করে
ফেললে তার দায়ভার মাথায় নিয়ে কেউই পদত্যাগ করে। সেই প্রেক্ষাপটে স্কাইপ
কথোপকথনের বিষয়টি নিয়ে অমূলক হোক বা সত্য হোক যেসব সন্দেহ দেখা দিয়েছিল-
উনি পদত্যাগ করার ফলে সেই বিষয়টি থেকে মুক্ত হওয়া গেল। আমি বলবো
নিঃসন্দেহে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম তার কথা-বার্তার দায়ভার নিয়ে
পদত্যাগ করে ভালোই করেছেন।
প্রশ্ন: অনেকে কিন্তু আবার পাল্টা
অভিযোগও করছেন যে হ্যাকিং করে-ট্রাইবুনাল প্রধানের কথোপকথন প্রকাশ
যুদ্ধাপরাধী রক্ষা করারই চেষ্টা। আর বিচারাধীন বিষয়ে কথোপকথন প্রকাশ করাটা
গুরুতর অপরাধের শামিল। এই অভিযোগ সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?
ব্যারিস্টার শাহদীন মালিক :
মানে এমনি হ্যাকিং করা খারাপ কাজ এবং অপরাধ। অর্থাত ব্যক্তিগত বিষয়ে
হ্যাকিং করে প্রকাশ নিঃসন্দেহে অপরাধ কিন্তু বৃহত্তর স্বার্থে বা জাতীয়
স্বার্থে যদি কেউ হ্যাকিং করে জিনিসটা প্রকাশ করে দেয় সেক্ষেত্রে আমার মনে
হয় না তাতে আইনগত কোনো বাধা আছে। বিষয়টি আমি একটু উদাহরণ দিয়ে বলতে
চাই। যেমন ধরুন- কেউ একজন বিচারককে ফোন করে বলছেন- আপনি আমাকে যদি ছেড়ে
দেন তাহলে আপনাকে ৫ লাখ টাকা দেব, এ ধরনের ঘুষের কথা-বার্তা টেলিফোনে
হচ্ছে। বিচারাধীন বলে কি এই ঘুষের মতো অপরাধের বিষয়টি জানার পরও কি প্রকাশ
করা হবে না? আমার মনে হয় অবশ্যই এ ধরনের বিষয় প্রকাশ করা উচিত। তবে
সাধারণভাবে হ্যাকিং করা, আড়িপাতা বা শোনা অপরাধমূলক কাজ এবং তা ঠিক নয়
বিশেষত কোনো ব্যক্তির পারিবারিক ব্যাপারে। তবে জাতীয় স্বার্থে বা
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যদি হ্যাকিং করে প্রকাশ করা হয় সেক্ষেত্রে আমার মনে
হয় না কোনো বাধা আছে। ধরুন দুইজন লোক ফোনে ষড়যন্ত্র করছে যে বোমা মেরে
কোনো একটা কিছু উড়িয়ে দেবে। কেউ সেটা আড়ি পেতে শুনে ফেললো এবং তা প্রকাশ
করলো। তাতে কিন্তু কোনো বাধা নেই।
প্রশ্ন: এবার যে বিষয়টি জানতে
চাইবো সেটি হচ্ছে-আদালত বা বিচারালয় অত্যন্ত পবিত্র এবং সম্মানজনক একটি
স্থান। সেই আদালতের কার্যক্রম নিয়ে বিচারকদের অনেক সতর্ক থাকতে হয়। চলমান
কোনো বিচার নিয়ে তৃতীয় এমন কোনো পক্ষের সঙ্গে তাঁদের কথা বলা উচিত
নয়,যাতে বিচার প্রভাবিত হতে পারে। কাজেই বিচারপতি নিজামুল হকের বিষয়টি
নিয়ে এখন বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে এবং যে ঘটনাটি ঘটলো সেটাকে বাংলাদেশের
বিচার বিভাগের ইতিহাসে বলা হচ্ছে একটি বড় কেলেঙ্কারি। তো এ বিষয়টিকে আপনি
কিভাবে দেখবেন।
ব্যারিস্টার শাহদীন মালিক :
এ বিষয়ে আমি আপনার সঙ্গে একমত। কারণ স্কাইপ কথোপকথনে আমি যা শুনেছি তাতে
শব্দচয়ন, তীর্যক মন্তব্য –এসব ওই পর্যায়ের একজন বিচারকের কাছ থেকে
প্রত্যাশিত ছিল না। অন্যদিকে আবার বিষয়টিকে একটু ভিন্নভাবে দেখতে পারে।
কারণ ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমরা তো অনেক ধরনের কথা বলে থাকি। যেমন ধরুন- আমি
আমার ছোট বেলার বন্ধুদের সাথে যখন কথা বলবো বা আড্ডা মারবো তখন অন্য ভাষায়
কথা বলবো। তবে আলোচিত বিষয়টি out of context হওয়াতে বিষয়টি খুবই
দৃষ্টিকটু বা শ্রুতিকটু লাগছে। তবে একইসঙ্গে আমি আবারও বলবো যে, কোনো
বিচারক উচ্চ পর্যায়ে গেলে তিনি যার সঙ্গেই কথা বলুন না কেন আমরা তার কাছ
থেকে ভাষার ব্যবহার এবং শব্দ চয়নে বিচক্ষণতা আশা করি। তবে বিচারপতি
নিজামুল হকের কথোপকথনে অনেক হয়ত আশাহত হয়েছেন।
প্রশ্ন: আচ্ছা আমরা যে কথা
বলছিলাম যে অনেকে অভিযোগ করছেন যে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্যই হ্যাকিং
করে-ট্রাইবুনাল প্রধানের কথোপকথন প্রকাশ করা হয়েছে। তো এই অভিযোগটা কতোটা
যুক্তিযুক্ত?
ব্যারিস্টার শাহদীন মালিক :
দেখুন এ রকম একটা ঘটনা ঘটলে তো নানান ধরনের অভিযোগ ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব উঠে
থাকে। আর আমরা তো ষড়যন্ত্র তত্ত্বে পারদর্শী। দেখুন আসলে যুদ্ধাপরাধীদের
রক্ষা করার জন্য হ্যাকিং করে ট্রাইবুনাল প্রধানের কথোপকথন প্রকাশ করা
হয়েছে কিনা তাতো আর আমি জানি না। যারা বলছে তাদের যদি এ ব্যাপারে বিশেষ
কোনো নলেজ থেকে থাকে তারাই প্রকাশ করুক। তবে যড়যন্ত্র হয়েছে আমি সে কথাও
বলছি আবার ষড়য্ন্ত্র হয়নি সে কথাও বলব না। আসলে এ ব্যাপারে আমার কোনো
মন্তব্য নেই।