বিশ্বব্যাপী আমাদের যোগাযোগব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে ইন্টারনেট। ১ জানুয়ারি ৩০ বছর পূর্ণ করেছে ইন্টারনেট। ১৯৮৩ সালে মানুষের জীবন বদলে দেয়া এ যোগাযোগব্যবস্থাটি প্রথম চালু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরা বিভাগ ১৯৮৩ সালের ১ জানুয়ারি প্রচলিত আরপানেটের বদলে আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্টারনেট প্রটোকল স্যুট (আইপিএস) যোগাযোগব্যবস্থা চালু করে। এ দিনটিকে প্রতিরা বিভাগ পালন করে ফ্যাগ ডে হিসেবে। বর্তমানে ইন্টারনেটের কল্যাণে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের যেকোনো মানুষ বা স্থানে সস্তায়, সহজে ও দ্রুত তথ্য পৌঁছানো সম্ভব। ষাটের দশকে প্রথম কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে তথ্য আদান-প্রদানের নতুন একটি পদ্ধতি খুঁজতে হন্যে হয়ে ওঠে মার্কিন প্রতিরা বাহিনী। সে সময় ওয়েলসের বিজ্ঞানী ডোনাল্ড ডেভিসের নকশার ওপর ভিত্তি করে আরপানেট নামে প্রকল্প চালু করে তারা। শুরু থেকেই অনেক তথ্য পাঠানো প্যাকেট সুইচিং পদ্ধতি ইন্টারনেটে নিয়ে আসে আরো বড় পরিবর্তন। কম্পিউটার গবেষক টিম বার্নারস লি এ ধারণাকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করেন অতিপরিচিত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ()ি পদ্ধতি। ওই সময় যে এ পদ্ধতি তৈরি করেছিলেন, তার ধারণাও ছিল না কী পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে এ উদ্ভাবন। কিন্তু বর্তমানে ি ছাড়া ইন্টারনেটের কথা চিন্তাই করা যায় না। এরপর লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (ইউসিএলএ) ও স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণাগারে জন্ম হয় বৈপ্লবিক আরপানেট প্রযুক্তির। আরো মতাশালী ও ইচ্ছামতো ব্যবহারোপযোগী আইপিএস প্রযুক্তির ওপর গবেষণা শুরু হয় ১৯৭৩ সালে। এখানেই উদ্ভাবন হয় ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রটোকলের (টিসিপি)। পরে দুর্বল নেটওয়ার্ক কন্ট্রোল প্রোগ্রামের (এনসিপি) বদলে নতুন এ পদ্ধতির ব্যবহারও শুরু হয় কয়েক বছরের মধ্যে। এতে নিশ্চিত করা হয়, একটি কম্পিউটার নষ্ট হলেও যেন অন্য কম্পিউটারগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ না হয় এবং একটি কম্পিউটার আক্রান্ত হলেও বাকিগুলো নিরাপদ থাকে। ফলে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ পদ্ধতির বিশ্বস্ততা ও কার্যকারিতাও বেড়ে গেছে অনেক গুণ।
No comments:
Post a Comment